ইয়েমেনের রাজধানী সানা এবং উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি স্থানে গতরাতে একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এই হামলাগুলোর ফলে অন্তত ১৫ জন নিহত এবং অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে বলে দাবি করছে হুথি নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য না করলেও টেল আভিভ-ভিত্তিক একাধিক সংবাদমাধ্যম দাবি করছে, হুথি বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে রেড সি এবং ইস্রায়েল অভিমুখে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদ সংস্থা সাবা নিউজ জানিয়েছে, রাজধানী সানা, সা’দা ও হোদাইদাহ শহরে একযোগে আঘাত হানে যুদ্ধবিমানগুলো। বেসামরিক স্থাপনাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে, যদিও হামলার প্রধান লক্ষ্য ছিল হুথিদের সামরিক গুদাম ও যোগাযোগ কেন্দ্র।
জাতিসংঘের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত হান্স গ্রুনবার্গ এক বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “এই ধরনের সামরিক অভিযান কেবল অঞ্চলকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলবে এবং সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট বাড়াবে।”
এই হামলা এমন এক সময়ে হলো যখন গাজা, লেবানন এবং সিরিয়াতেও ইসরায়েল সামরিক অভিযানের পরিধি বাড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইয়েমেনকে জড়িয়ে পড়া একটি বিস্তৃত আঞ্চলিক সংঘাতের ইঙ্গিত হতে পারে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক মধ্যপ্রাচ্য বিশ্লেষক ড. লরা রোজেন বলেন, “ইসরায়েলের এই পদক্ষেপ কেবল হুথি বিদ্রোহীদের প্রতি সতর্কবার্তা নয়, বরং ইরানঘেঁষা সামগ্রিক জোটের প্রতিও শক্তি প্রদর্শন।”
ইতিমধ্যে ইরান এই হামলার নিন্দা জানিয়ে একে "আগ্রাসী কর্মকাণ্ড" হিসেবে বর্ণনা করেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে জানিয়ে উভয় পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও যুদ্ধবিরতির জন্য জরুরি আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন।